December 23, 2024, 12:17 pm

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে:উত্তরা পূর্ব থানা কর্মিসভায় আমিনুল হক পারিবারিক কলহের জেরে আপন ভাই কর্তৃক জলিল হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাগর (২০) কে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ ও র‍্যাব-৭ লাখো মুসল্লির অশ্রু সজল নয়নে আমিন-আমিন ধ্বনীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের ইজতেমা কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে ICAO CAA Approval of Training Organizations (ATO) Course এর সমাপনী অনুষ্ঠিত খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত ঢাকায় ১৯ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে দাওয়াতে ইসলামীর ইজতিমা উত্তরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত দক্ষিনখানে রাজউকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ করছে মধ্য আজিমপুরের ইসলাম বোখারী রোডে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

সাভারে শতবর্ষী বৃদ্ধাকে নির্যাতন ও শেষ সম্বল কেরে নিল, অভিযোগ স্বজনদের রিরুদ্ধে।

স্বপনঃ তাহেলা খাতুনকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। এসময় ওই বৃদ্ধার নির্যাতনের কথা জানতে পেরে বড় ছেলে প্রতিরোধ করলে অভিযুক্তদের হাতে মারধরের শিকার হন বলেও অভিযোগ করেন। তবে অভিযুক্তদের দাবি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে ওই বৃদ্ধা এবং তার মেয়ে  ফাতেমা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচারের দাবি করেন।

আহতরা হলেন -বৃদ্ধা তাহেলা খাতুন (১২৫) ও তার বড় ছেলে খলিলুর রহমান (৭৫)।
অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন – সাভার পৌর এলাকার  উলাইল মহল্লার আবু তাহেরের ছেলে নূর নবী (৩০), শাহীন (২৮), ও মাসুদ (২২) এবং নূর নবীর স্ত্রী আকলিমা (২৫)।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত বৃদ্ধা তাহেলা খাতুন ছোট ছেলের আবু তাহেরের সংসারে থাকতেন । সেই সুবাদে বৃদ্ধার নিজের শেষ অবলম্বন তিন শতাংশ জমি সেই ছেলের ঘরের নাতিদের নামে লিখে দেন। কিন্তু নিজের সম্পত্তি দিয়েও জীবনের শেষ মুহূর্তের অবহেলা ও নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায় বৃদ্ধার কপালে।

আহত বৃদ্ধা তালেহা খাতুন বলেন, এখন আমি বিছানা থেকে উঠতে পারি না। বিছানাতেই সব কিছু। আমাকে দেখাশুনার জন্য, আমার জমি নাতিদের নামে লিখে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করেন।

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বড় ছেলে খলিলুর রহমান বলেন, আমার মা’কে কৌশলে তারা নিয়ে রেখেছিল।  সম্পত্তি নেওয়ার পর ঠিক মতো খাবার দেয় না। চুলের মুঠি ধরে ঘরের দেয়ালের সাথে কপালে ধাক্কা দেয়। এতে আমার মা’র কপাল ফুলে রক্তের জমাট বাঁধে। পরে আমি গিয়ে মারধরের চিহ্ন দেখে প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে নূর নবী বলেন, আমার পরিবারের সবাই আমরা দাদীকে দেখাশুনা করতাম। তার সেবা যত্নের কোন ত্রুটি করা হয়নি। আমাদের বাসা থেকে ঝগড়া করে দাদিকে নিয়ে গেছে। দাদীর বয়স হয়েছে, এখন সে যার কাছে থাকে তাদের পক্ষেই কথা বলে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন